ঢাকার মৃত খাল, কালভার্ট ও ড্রেনের পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তিন মাসের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শেষ হচ্ছে ১৩ই এপ্রিল। সংস্থাটির বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, গত প্রায় দুই মাসে ৫ খাল ও দুই কালভাট থেকে প্রায় পৌনে দুই লাখ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। তবে খালে ময়লা ফেলা ও সীমানা পিলার চুরি বন্ধ হয়নি।
কিছুদিন আগেও জিরানী খালের ময়লা ছাড়া কিছুই চোখে পড়ত না। খালের পুরো পাড়ই ছিল ময়লার ভাগাড়। এমনকি কাপড়-চোপড় আসবাবপত্রের শেষ ঠিকানাও ছিলো এই খাল। রোববার জিরানী খালের ত্রিমোহনী ব্রিজ অংশে গিয়ে দেখা যায়, স্বস্তিকর দৃশ্য।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি জানায়, গত পৌনে দুই মাসে জিরানী খাল, মান্ডা খাল, শ্যামপুর খাল, কদমতলা খাল ও কমলাপুর খালের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দৃশ্যমান করে ৭৫ শতাংশ সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ১ কোটি টাকা খরচে ৫ খালসহ দুই বক্স কালভার্ট থেকে দেড় লাখ টন বর্জ্য-অপসারণ করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন বলেন, খালের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার আমরা এরইমধ্যে আমরা উন্মুক্ত করেছি। শহর থেকে যে পানি খালে গিয়ে পড়ছে সেগুলো কিন্তু অনেকটাই দৃশ্যমান।
কিন্তু চলমান অভিযানের মধ্যেও দৈনন্দিন গৃহস্থালির ময়লা ফেলা হচ্ছে খাল ও বক্স-কালভাটে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজিজুল হক বলেন, এটা আমাদের অনেক পুরোনো অভ্যাস এলাকাবাসীরা সকল ময়লা খালে ফেলে দেয়।
আর ১৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা বলেন, বাসা-বাড়ির ময়লার সুয়ারেজ লাইনের সঙ্গে যে সংযোগ সেটি বন্ধ করা না গেলে আমরা যতই পদক্ষেপ নিই না কেন সব ব্যর্থ হবে।
এমনকি সীমানা চিহ্নিত করে বিভিন্ন স্থানে পিলার দেয়া হলেও ভূমিদস্যুরা সেগুলো সরিয়ে ফেলেছে। এমন অভিযোগ করে দক্ষিণ সিটি বলছে, এসব রক্ষণাবেক্ষণে মন্ত্রণালয়ে কাছ থেকে একশ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি বলছে, খাল হস্তান্তরের সময় কমলাপুর ও ধোলাইখাল পাম্পিং স্টেশন দুটি অচল পাওয়া যায়। ডিএসসিসি’র বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা বিভাগের দাবী রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই পাম্পগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।